বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে অসংখ্য পাটের গুদামে আগুন লেগেছিল বা লাগানো হয়েছিল। এই ব্যাপারে বঙ্গবন্ধুর শাসনামলের মন্ত্রী, সরকার, জুট মিল কর্তৃপক্ষ, আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব কখনো জাসদকে দায়ী করে কোন বক্তব্য দেননি। জাতীয় সংসদে এ নিয়ে অনেকবার কথা উঠলেও জাসদকে দায়ী করে কোন মন্ত্রী বা সংসদ সদস্য কোন বক্তব্য দেননি। পরবর্তীতে এক শ্রেণির বাম ঘরানার বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও কিছু আওয়ামী লীগ সমর্থক পাটের গুদামে আগুন লাগানোর জন্য জাসদকে দায়ী করে পত্রিকায় লিখছেন, প্রকাশ্যে না হলেও ঘরোয়া বৈঠকে বক্তব্য দিচ্ছেন। তাদের সত্য জানতে সহায়তা করার জন্য সেই সময়ে প্রকাশিত ‘দৈনিক ইত্তেফাক’ থেকে কিছু তথ্য তুলে ধরছি।
২৭/৩/৭২: নেত্রকোণায় আগুন, ৩৬ হাজার মন পাট বিনষ্ট। ২৯/৩/৭২: পাকসহযোগীরা বিভিন্ন কলকারখানার প্রশাসক হিসেবে কাজ করছেন বলে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের অভিযোগ, এরা কলকারাখানা বন্ধের চেষ্টা করছে বিভিন্ন উপায়ে। ১/৮/৭২: জুট মার্কেটিং কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করেছে এবং করার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ। ২৩/১০/৭২: নারায়ণগঞ্জের আমিন জুট মিলে অগ্নিকান্ড, বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে, ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার পাটের ক্ষতি।
১৭/১১/৭২: পাটের গুদামে আগুন তদন্তে খুলনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তকারী দল, স্ববিরোধী বক্তব্য। ১৮/১১/৭২: খুলনা পাট গুদামে আগুনের সাথে জড়িত ৩ গ্রেফতার, রাষ্ট্র বিরোধী ও বিদেশি চরদের কাজ বলে সন্দেহ। ১৯/১১/৭২: রংপুরে লক্ষাধিক টাকার পাট ও তামাক পুড়ে গেছে। ২৮/১১/৭২: নারায়ণগঞ্জের ২২ পাটের গোদামে আগুন, প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি, ২২ টি গুদামে আগুন পরিকল্পিত ও নাশকতামুলক বলে সন্দেহ। ৩০/১১/৭২: নিছক দুর্ঘটনা নয় পাটের গুদামে আগুন লাগানোয় বিদেশি শক্তির হাত আছে, কোরবান আলী। ৬/১২/৭২: খুলনা পাটের গুদামে অগ্নিকান্ড, তদন্তে কমিটি। ২৯/১২/৭২: ভস্মীভুত পাটের বীমার টাকা পাওয়া নিয়ে সন্দেহ।
৭/২/৭৩: খুলনার স্টার জুট মিলে অগ্নিকান্ড, ১ লক্ষ টাকার ক্ষতি। ১১/২/৭৩: শীতলক্ষায় অগ্নিকান্ড: ৭৫ হাজার টাকার পাট ভস্মীভুত। ২৭/২/৭৩: শীতলক্ষা নদীর পারে আরসিএম পাটের গুদামে আগুন, ১০ লক্ষ টাকার পাট ভস্মীভুত। ২৩/৩/৭৩: সৈয়দপুরে দেড় লক্ষ টাকার পাট পুড়ে গেছে। ৭/৬/৭৩: সংসদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, প্রায় ৫ কোটি টাকার পাট পোড়া গেছে, এই ব্যাপারে তদন্তের জন্য ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি হয়েছে, তারা তদন্ত করছে। ১২/৭/৭৩: সংসদে পাট মন্ত্রী, পচে পুড়ে ৪ কোটি টাকার অধিক মূল্যের পাট বিনষ্ট হয়েছে। ঢাকেশ্বরী মিলে অগ্নিকান্ড, ১৫ হাজার টাকার পাট ভস্মীভুত।
১৮/১০/৭৩: নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার গোপনগরে পাটের গুদামে অগ্নিকান্ড, ৪ লক্ষ টাকার ক্ষতি। ১৭/১১/৭৩: নারায়ণগঞ্জে পাটের গুদামে আগুন, ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি। একই গুদামে ২ সপ্তাহ আগে আগুনে ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছিল, আসামী চিহ্নিত হয়নি। ১৮/১১/৭৩: পাট গুদামের আগুন এখনো নিবেনি, ক্ষতির পরিমান ১ কোটি টাকা ছাড়াতে পারে। ২১/১১/৭৩: নারায়ণগঞ্জে পাট গুদামের অগ্নিকান্ডে জড়িত সন্দেহে মোট ৪ গ্রেফতার। ২৮/১১/৭৩: আদমজী পাটকলে বঙ্গবন্ধুর আকস্মিক পরিদর্শন, জেনারেল ম্যানেজার অপসারিত, অপর ৪ ম্যানেজার সাসপেন্ড, তদন্তের জন্য মিল ৪৮ ঘন্টা বন্ধ, মিলে পচা পাট ব্যবহার হচ্ছে। মিল ধ্বংসের পায়তারাকারীদের সহ্য করা হবে না, বঙ্গবন্ধু। ২৭/১২/৭৩: পাটমন্ত্রী খুলনার প্লাটিনাম জুট মিলের কলোনীতে অগ্নিকান্ডের ফলে ৩০ হাজার শ্রমিক গৃহহীন ও ১ লক্ষ টাকার ক্ষতি, সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত বলে জানা যায়।
২৬/১/৭৪: নারায়ণগঞ্জে ৯টি পাটের গুদামে অগ্নিকান্ডে ৬ কোটি টাকার সম্পত্তি ভস্মীভুত, কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের কাছে, কাছাকাছি সঙ্গীত বিদ্যালয়ে পুলিশের যে অস্থায়ী ক্যাপ রয়েছে সেখানে প্রথম আগুন দেখা যায়। ২৭/১/৭৪: পাটের গুদামে অগ্নিকান্ড তদন্তের বিচারপতির নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের কমিটি। ২৮/১/৭৪: ঢাকা কার্পেটিং জুট মিলে আগুন, ক্ষতির পরিমাণ ২ কোটি টাকা। নারায়ণগঞ্জে পাটের গুদামে আগুন, ৫ হাজার টাকার ক্ষতি। ২৯/১/৭৪: পাটের গুদামে অগ্নিকান্ড সম্পর্কে পাট প্রতিমন্ত্রী, নাশকতামুলক কাজের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
৩০/১/৭৪: সংসদে পাটপ্রতিমন্ত্রী, পাটের সর্বনাশকারীদের খুজে বের করা হবেই। ১/২/৭৪: যশোর কার্পেটিং জুট মিলের অগ্নিকান্ডের কারণ নির্ধারণ, পলিথিন কাগজে আবৃত ফিনিশড প্রোডাক্ট গুদামের সিলিং থেকেই সম্প্রতি কার্পেটিং জুট মিলে অগ্নিকান্ডের সূচনা হয়েছে, পলিথিনের এই আচ্ছাদন প্রজ্জলিত টিউব বালবের সংষ্পর্শে আসলে হঠাৎ আগুন লেগে যায় এবং ছড়িয়ে পড়ে, মিল কর্তৃপক্ষের দাবি ক্ষতির পরিমাণ ১৪ লক্ষ টাকা, যশোর জেলা ডিসি’র দাবি ৯ লক্ষ টাকা। ২/২/৭৪: নারায়ণগঞ্জের কুমুদিনি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট্রের পাটের গুদামে অগ্নিকান্ডের তদন্ত রিপোর্ট, দমকলবাহিনীর রিপোর্টে বলা হয়েছে এটা নাশকতামুলক কাজ, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের সহযোগিতার অভাবে আগুন নিভাতে দেরী হয়েছে।
১৩/২/৭৪: রংপুরে ১৩ শতাধিক বেল পাট পুড়েছে, পুলিশ দারোয়ানকে আটক করেছে এবং কিছু কাগজপত্র আটক করেছে। ২৭/২/৭৪: ৬২৯ টন পাট ভস্মীভুত, ৩ কোটি টাকার ক্ষতি, নরসিংদির আলী জান পাট কলে আগুণ। ২৮/২/৭৪: কর্তৃপক্ষের মতে আলীজান জুট মিলে ক্ষতির পরিমান ২৭ লক্ষ টাকা। ৩/৩/৭৪: আলীজান জুট মিলের অগ্নিকান্ড সম্পর্কে নরসিংদি সংসদ সদস্য মোসলেমউদ্দিন ভুইয়ার বিবৃতি, ২৬ ফেব্রুয়ারি মিলে অগ্নিকান্ডের সময় মিলের জেনারেল ম্যানেজার ও সহকারী ম্যানেজারসহ দায়িত্বশীল কোন কর্মকর্তা মিলে ছিলেন না, আগুন লাগার কয়েক মিনিটের মধ্যেই দমকল বাহিনী এসে আগুন নেভানোর উদ্যোগ নেয়, এই অগ্নিকান্ড বিড়ি সিগেরেট বা সর্ট সার্কিটের কারণে লাগেনি, এটা লাগানো হয়েছে, বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ করা হয়েছে আলীজান জুট মিল কর্তৃপক্ষ মিলের জন্য পাট না কিনেই ভুয়া পাটের বিল করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মস্যাৎ করেছে এবং বছর শেষে পাটে ঘাটতি হবে এই আশঙ্কার অগ্নিকাণ্ড সংগঠিত করা হয়েছে।
৫/৩/৭৪: দৌলতপুরের ২৩ টি কর্পোরেশন পাটের গুদামে আগুন, ৬ কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট। ৬/৩/৭৪: দৌলতপুরে বঙ্গবন্ধু, অগ্নিকান্ড তদন্তের জন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিটি, সরাসরি বঙ্গবন্ধুর কাছে রিপোর্ট পেশ করতে হবে, দৌলতপুর পাট গুদামে অগ্নিকান্ডের সার্বিক তদন্ত অনুষ্ঠানের নির্দেশ। খুলনায় পাট গুদামে অগ্নিকান্ডের দায়ী সন্দেহে ১৫ গ্রেফতার, এদের মাঝে পাট গুদামগুলোর কিছু কর্মচারীও আছেন। ৯/৩/৭৪: র্যালী ব্রাদার্সের দৌলতপুর পাট গুদামের অগ্নিকান্ডের সাথে জড়িত থাকা সন্দেহে পাটমূল্য সংস্থার ম্যানেজার ও ২ কর্মচারী গ্রেফতার, মোট গ্রেপ্তার ১৮।
১১/৩/৭৪: গত ২৬ মাসে ১৪ কোটি টাকার পাট পুড়েছে, ইনস্যুরেন্স করা পোড়া পাটের ক্ষতিপুরণ বাবদ বীমা সংস্থাকে দিতে হবে ১৩ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা, পাটগুদামে সংগঠিত অগ্নিকান্ডের ঘঠনাসমুহ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে জানা যায়, রফতানি বাণিজ্যের গতি মন্থর থাকার কারণে গুদামে মাসের পর মাস অতিরিক্ত পাট বোঝাই করে রাখা হয়। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই কাঁচা গুদাম থাকে, সেগুলোতে অগ্নি প্রতিরোধের কোন ব্যবস্থা নেই, অভিযোগে প্রকাশ সঠিকভাবে তথ্য অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে যে সংশ্লিষ্ট মিল বা গুদামের কর্মকর্তা থেকে শ্রমিক নেতা পর্যন্ত সংঘবদ্ধভাবে স্টকের মাল পাচার করে দেয় এবং স্টক ঘাটতির খাতাপত্র ঠিক রাখার জন্য স্যাবোটাজ অগ্নিকান্ড ঘটে, সুবিধা এই ছাই মেপে পাটের পরিমাণ নির্নয় করা যায় না, এবং পাট পুড়ে গেলেও খাতার হিসেব অনুযায়ী বীমা সংস্থা থেকে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়, পর্যবেক্ষক মহলের মতে, পাটের অগ্নিকান্ড কমাতে হলে গুদামের আমদানি রফতানিতে সমতা আনতে হবে। ১৫ দিনের ভিতর গুদামের মাল খালাসের ব্যবস্থা করতে হবে। নির্দিষ্ট পরিমানের অধিক পাট গুদামজাত বন্ধ করতে হবে। ১৫ দিন অন্তর অন্তর প্রত্যেকটি গুদামের স্টক পরীক্ষার জন্য তদন্ত কমিটি করতে হবে।
জাতীয় অর্থনীতির মেরুদন্ড পাট সম্পদকে অগ্নিকান্ডের হাত থেকে রক্ষার জন্য স্থায়ী তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে। অগ্নিকান্ডের পর পত্রিকায় ক্ষতির পরিমান বেশী দেখানো হয় আবার বীমা সংস্থার কাছে যে দাবি করা হয় সেটাও কম নয়। ১৭/৩/৭৪: পাট গুদামে অগ্নিকান্ডরোধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। ২০/৪/৭৪ কালিগঞ্জের সাত্তার চটকলের গুদামে আগুন, ২০ লক্ষ টাকার পাট পুড়ে গেছে ৮ গ্রেফতার। পারচেজ বিভাগের এক কর্মচারীর ইঙ্গিতে আগুন লাগানো হয়, গুদাম থেকে পাট পাচার করে হিসেব মিলানোর জন্য এই আগুন লাগানো হয়।
২২/৪/৭৪: চট্টগ্রামের সুলতানা পাটকলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, ১২ লাখ টাকার পাট ভস্মীভুত, ৯ গ্রেফতার, খোলা আকাশের নীচে ইচ্ছাকৃতভাবে পাট ফেলে রাখায় পাটের নীচে একপ্রকার বাষ্পের সৃষ্টি হয়, অসতর্কভাবে সেখানে দেশলাইয়ের আগুন লাগায় এই অগ্নিকান্ডের সৃষ্টি হয়েছে। ৩/৫/৭৪: খুলনায় পাটের গুদামে রহস্যজনক অগ্নিকান্ড, ক্ষতির পরিমাণ ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা, ৪ টি গুদামে আগুন, কয়েকদিন পূর্বে জুট ট্রেডিং কর্পোরেশন এর কিছু পাট নদীতে ফেলে দেয়ার কারণে ১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, এই ব্যাপারে কর্পোরেশনের ব্যাখ্যা ছিল পঁচে যাওয়ায় কিছু পাট নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে কিন্তু তদন্তে বলা হয়, কিছু পাট ফেলে বাকিটা অন্যভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, এজন্য যাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তিনি আগুন লাগার আগের দিন জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন, অভিজ্ঞ মহলের মতে পাটের গুদামে আগুন লাগলে সংশ্লিষ্টরা অনেক ধরনের সুবিধা পান, এই সুবিধাই বার বার পাটের গুদামে আগুন লাগার কারণ বলে তারা মনে করেন।
১৩/৫/৭৪: টাঙ্গাইল কটন মিলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, ক্ষতির পরিমান ১ কোটি টাকা, স্থানীয় মহলের ধারণা শ্রমিক অসন্তোষ ও পারষ্পরিক বিরোধের ফলেই এই অগ্নিকান্ড সংঘটিত হয়েছে। ১৪/৫/৭৪: টাঙ্গাইল কটন মিলে অগ্নিকান্ডের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী সৈয়দ নজরুল ইসলাম। ১৫/৫/৭৪: টাঙ্গাইল কটন মিলের অগ্নিকান্ড সম্পর্কে কর্পোরেশনের বক্তব্য, মিলের কন্ট্রোল রুমের তৈলজাত দ্রব্য থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে। নিলফামারীতে ৩ লক্ষ টাকার পাট ভস্মীভুত। ২১/৫/৭৪: উত্তরাঞ্চলীয় জেলা সফর শেষে পাটমন্ত্রীর অভিযোগ, আগুন নেভানোর পর ভাল পাট সড়িয়ে নিতে অযথা বিলম্ব হচ্ছে।
২৭/৫/৭৪: কুমুদিনী কল্যান সংস্থার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, পাটের গুদামে আগুন লাগিয়ে সংস্থার আয় বন্ধের চেষ্টা হচ্ছে। ১৯/৭/৭৪: সংসদে জাসদের মাইনুদ্দিন, পাট শিল্প জাতীয়করণের পর একশ্রেণির লোক রাজনীতির নামে বড় বড় মিলের ম্যানেজার ও প্রশাসক হয়ে যান, এইসব টাউট লোকের জন্য পাট আজ ধ্বংসের মুখে, সরকারি আমলারা নিজের ও গোষ্ঠীর স্বার্থে পাট গুদামে আগুন লাগিয়ে দেয়, এই চক্রান্তকারিদের জন্য পাট আন্তর্জাতিক বাজার হারিয়েছে। জবাবে পাট প্রতিমন্ত্রী, গতবছর পাট রফতানি করে ২৫০ কোটি টাকা অর্জিত।
আরো তথ্য খুঁজলে পাওয়া যাবে। উপরের সংবাদগুলোতে দেখা যায় মন্ত্রীরা পাটের গুদামে আগুণ লাগানোর জন্য দুই একবার বিদেশী চরদের সন্দেহ করে বক্তব্য দিলেও কারা সেই বিদেশি চর উল্লেখ করেননি। সরকারি কর্তৃপক্ষ তাদের কথা প্রাথমিকভাবে বিশ্বাস করলেও সরকার তদন্ত করে চূড়ান্ত সত্য বের করে নেয়। আর সব সরকারি তদন্তে এটাই এসেছে যে, কিছু ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের অবহেলার দরুন আগুন লেগেছে, আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কম পরিমাণ পাট কিনে বেশি পরিমান দেখানো এবং চূড়ান্ত হিসেব মিলানোর জন্য মিল কর্তৃপক্ষই আগুণ লাগিয়েছে। যারা সেই ৭২ সালে সৃষ্ট জাসদকে পাটের গুদামে আগুণ লাগানোর জন্য এখনো দায়ী করেন তারা সম্ভবত সত্য না জেনেই এমনটি করছেন। আশা করি, এই সামান্য তথ্যই তাদের ভুল ভাঙ্গাতে যথেষ্ট।
মন্তব্য করুন