২০০০ সালের ২২ জুলাই কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে শেখ হাসিনার সমাবেশ করার কথা ছিল। ওই সমাবেশের প্যান্ডেল তৈরির সময় ২০ জুলাই কলেজের পাশ থেকে ৭৬ কেজি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় কোটালীপাড়া থানার এস আই নূর হোসেন বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে সি আই ডি’র সহকারী পুলিশ সুপার মুন্সী আতিকুর রহমান ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দেন। ওই বছরের ২ জুলাই আদালত মামলায় চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন। ৮৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মমতাজ বেগম এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ১০ আসামির মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেওয়া হয়। গত ১৭ ফেব্রুয়ারী হাইকোর্টও ওই ১০ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। মামলার বিস্তারিত আরো দীর্ঘ। পাঠকরা সবই জানেন।

প্রশ্ন হলো, ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী হত্যা চেষ্টার বিচারে যেখানে ২০ বছর লাগে সেখানে সাধারণ মানুষকে বিচার পেতে কত বছর অপেক্ষা করতে হয়? এই প্রলম্বিত বিচার প্রমাণ করে আমাদের বিচার ব্যবস্থায়, পুলিশী ব্যবস্থায় বেশ ত্রুটি আছে। এরপরও বিচায় ব্যবস্থায় কোন পরিবর্তনের চিন্তা রাষ্ট্র করেছে এমন প্রমাণ নেই যা দুঃখজনক। জনগণের আশা রাষ্ট্র বিষয়টি নিয়ে ভাববে।