দেশব্যাপী করোনা সংক্রমনের হার ও মৃত্যু হার আবার বেড়েছে। সরকার কোন সময় প্রবেশদ্বার, কোন সময় ভ্রাম্যমান আদালত দিয়ে মানুষজনকে মাস্ক পড়াতে বাধ্য করছেন। এটা কেবল একটি পদ্ধতি হতে পারে, সার্বিক পদ্ধতি নয়। সার্বিক পদ্ধতি হলো মাস্ক পড়া, জন থেকে জনের ৩ থেকে ৬ ফুট দুরত্বে থাকা, বাইরের কোন কিছু ষ্পর্শ করার পর সাবান দিয়ে ২০-৩৯ সেকেন্ড হাত ধোঁয়া, এই সময়ে পারিবারিকভাবে একত্রে ৪/৫ জন কোন এসি রুমে না থাকা, এসি হলে কোন অনুষ্ঠান না করা, এসি বাসে না চড়া, অফিসেও একই নিয়ম মানা। ঘরের সব জানালা খুলে দিয়ে ফ্যান চালিয়ে থাকা, বাজার থেকে জিনিষপত্র নিয়ে ঘরে ঢোকার পর জিনিষপত্রের মোড়ক সাবান পানিতে রেখে বাথরুমে গোসল সেড়ে রুমে ঢোকা, ঘরের ও অফিসের সব দরজার সব হ্যান্ডেল নিয়মিত জীবানু নাশক জাতীয় দ্রব্য দিয়ে মোছা ইত্যাদি ইত্যাদি। এরপর আরো অনেক নিয়ম আছে যা চাইলেই সরকার করতে পারবে না।
তাই সরকারের উচিত বর্তমান কার্যক্রমের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে সমাজকে করোনা প্রতিরোধে অংশ গ্রহণ করানো নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার যেমন মেয়রদের তত্বাবধানে শহরগুলোতে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও তাদের তত্বাবধানে মহল্লা কমিটি, গ্রামে উপজেলা চেয়ারম্যানদের তত্বাবধানে উপজেলা পরিষদ ও তাদের তত্বাবধানে ইউনিয়ন পরিষদ এবং একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে গ্রামীন বাজার, গ্রাম্য ওয়ার্ড মেম্বারদের সম্পৃক্ত করতে পারলে করোনার সব নির্দেশনার বাস্তবায়ন সম্ভব। শহরের সব বাজার কমিটি, বাস শ্রমিক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শাখাকে সম্পৃক্ত করা যায়। তাদের করোনার ভয়াবহতা, করোনা প্রতিরোধে প্রশিক্ষণ দিয়ে সমাজের মাঝে তাদের কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। সরকার যুবকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের কাজে লাগাতে পারেন। এইভাবে দেশের সকল সামাজিক ও স্থানীয় শক্তিকে করোনা মোকাবেলায় কাজে নামাতে পারলে করোনা মোকাবেলা সম্ভব হবে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।
মন্তব্য করুন