বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্ট এর সন্মানিত ট্রাস্ট্রি শাহ মোহাম্মদ হাসানের মৃত্যুতে গত১৪ মার্চ তারিখে চট্টগ্রামের জেলা শিল্পকলা একাডেমির গ্যালারী হলে এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ডা. মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন ফাহিমউদ্দিন আহমদ, মো হারিছ, ডা. জবিউল হোসেন,সিরাজুল ইসলাম রাজু, সোলায়মান খান, মশিউর রহমান খান, জয়নুদ্দিন জয়, মহিন, মাসুদ রেজা, ইঞ্জি সুমন, মো বোরহানউদ্দিন খন্দকার প্রমুখ। সভায় অনলাইনে যুক্ত হন ওমর সাফায়াত কাওসার। বক্তারা বলেন শাহ মোহাম্মদ হাসান পাহাড়তলী রেলওয়ে হাই স্কুল, চট্টগ্রাম কলেজের লেখা পড়া শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগ করতেন ও ছাত্রলীগের নিউক্লিয়াস মানে স্বাধীনতার সমর্থক একজন কর্মী ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাকিস্তান নৌ বাহিনীতে যান।

উপস্থিত ব্যাক্তিবর্গ

৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি পশ্চিম পাকিস্তানে ছিলেন। সেখানে বিপন্ন বাঙালি নাগরিকদের সহায়তা করতেন এবং তার বন্ধু কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে আর্থিক সহায়তা দিতেন। পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ বিষয়টি টের পেয়ে গেলে তারা গ্রেফতার করে লাহোরের লায়ালপুর কারাগারে আটকে রাখে। এক পর্যায়ে তিনি তার ১১ জনকে সাথীকে নিয়ে সুরঙ্গ কেটে জেল থেকে বের হয়ে আসেন। বাংলাদেশে পৌছতে পৌছতে দেশ স্বাধীন হয়ে যায়। স্বাধীনতার পরে আবার চলে যান ফিলিস্তিন যুদ্ধে অংশ নিতে। এরপর তিনি দেশে ফিরে এসে বেশ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে গবেষণা কেন্দ্রে জড়িত হন। তিনি ডা. মাহফুজ রচিত শিশু গ্রন্থ রাজা থেকে প্রেসিডেন্ট’ এর প্রকাশক। বক্তারা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।